আজ মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ নির্দেশ দেয়।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আজ একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদটি আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই পা হারিয়েছেন শাহানূর বিশ্বাস। এখন ভিটে ছাড়তে হয় কি না, সেই ভয়ও পেয়ে বসেছে তাকে। ওই ঘটনায় প্রথমে মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। পরে চেষ্টা-তদবির করে মামলা হলেও এখন আর আসামি ধরছে না পুলিশ। উল্টো শাহানূরের স্বজনদের হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার নলভাঙ্গা গ্রামে বখাটেরা শাহানূরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ নিয়ে শাহানূরের আত্মীয় মো. ইয়াকুব আলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা প্রথমে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় শাহানূরকে। পরে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করে। দলের অন্যরা লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পেটায়। এতে শাহানূরের গুরুতর রক্তক্ষরণ হয়।
ইয়াকুব ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৬ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করেন ভাই মহিনূর। দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকিরা পলাতক।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শাহানূর এখন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।