তিনি বলেন, কেবল পৃথক দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পেলেই এই সংকটের সমাধান হবে না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে একটি ‘অসাধারণ’ শান্তিচুক্তির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে এর জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন— দুই পক্ষকেই ছাড় দিতে হবে বলে জানান তারা।
বুধবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের মধ্যে ওই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন এই দুই নেতা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই ফিলিস্তিনের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম এলাকায় নতুন বসতি স্থাপনে নতুন করে অনুমোদন দিয়েছিল ইসরায়েল। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ওই বসতি স্থাপন ‘কিছু সময়ে’র জন্য ‘বন্ধ’ রাখার আহ্বানও জানান।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বা নেতানিয়াহু— কেউই ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমথর্ন জানালেও সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ট্রাম্প।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি দুই রাষ্ট্র ও একক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করছি। এবং তারা (ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন) যেটা পছন্দ করবে সেটাই আমার পছন্দ। সত্যি বলতে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিরা যে সমাধানে খুশি হবে, আমি সেটাকেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করব; সেটা এক রাষ্ট্রই হোক আর দুই রাষ্ট্রই হোক।’
‘দুই রাষ্ট্র’ সমাধানের বিষয়ে নেতানিয়াহু’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি ফলাফলের দিকেই নজর দিতে চান, ওপরের আস্তরণে নয়।
শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুটি পূর্ব শর্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথমত, ফিলিস্তিনিদের ইহুদি রাষ্ট্র স্বীকার করে নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইসরায়েলকে জর্ডান নদীর পশ্চিমের পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ দিতে রাজি থাকতে হবে।