সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তনদী জাদুকাঁটায় ভাই-বোন দু’জনেরই সোমবার সন্ধ্যারাতে পানিতে ডুবে সলিল সমাধি হয়েছে। উপজেলার বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের লাউড়েরগড় বাজার হাঁটির দুলাল মিয়ার দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী কিশোরী কন্যা অরজিনা আক্তার তোষা (৮) ও ৪ বছরের শিশু সন্তান মাহফুজ হাসান রাহাত সীমান্তনদী জাদুকাঁটার পানিতে ডুবে অকালে মৃত্যু বরণ করে। এ ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, উপজেলার লাউড়েরগড় বাজার হাঁটির দুলাল মিয়ার কিশোরী কন্যা অরজিনা আক্তার তোষা ছোট ভাই মাহফুজ হাসান রাহাতকে সাথে নিয়ে সোমবার বিকেলে বাড়ির পেছনে সীমান্তনদী জাদুকাঁটার বালিচরে লাঁকড়ি কুঁড়াতে যায়। লাঁকড়ি কুঁড়ানোর এক ফাঁকে অরজিনার চোখের আড়াল হয়ে ছোট ভাই রাহাত নদীতে গোসল করতে নামে। এক পর্যায়ে ভাইকে পানিতে ভাঁসিয়ে নিয়ে যেতে দেখে তাকে বাঁচাতে গিয়ে অরজিনাও পানিতে ঝাঁপ দিলে ভাই-বোন দু’জনই পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে সন্ধ্যারাতে ওই দু’শিশুর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত দুইশিশুর পিতা দুলাল মিয়া মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে জানান, ভাই আমি নদীতে বালি পাথর শ্রমিক হিসাবে কাজ করি, আমার তিন ছেলে মেয়ে, সোমবার আসরের পর তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে এক সাথে ভাত খেয়ে আমি বাজারে গেছি। এর ফাঁকে অরজিনা লাঁকড়ি কুড়াতে গিয়ে ছোট ভাই রাহাত পানিতে গোসল করতে নামায় তাকে ডুবে যেতে দেখে ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সেও পানিতে ঝাঁপ দিলে আমার দু’শিশু সন্তানই মারা যায়।
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই অজয় চন্দ্র রায় বলেন, অবিভাবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবিক কারনে মঙ্গলবার ওই দু’শিশুর লাশ দাফনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ সুপার দু’জনই অনুমতি দিয়েছেন।