অগ্রসর রিপোর্ট :সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষিত করতে ইরান সরকার সেদেশের পার্লামেন্টে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত একটি বিল উত্থাপন করেছে।
‘সহিংসতা থেকে নারীর সুরক্ষা, মর্যাদা ও নিরাপত্তা’ শিরোনামের এই বিলটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে। নারীর প্রতি আচরণ যা ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিকর’, সেগুলোকে এই বিলে অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
পার্লামেন্ট বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হোসেন আলি আমিরি বৃহস্পতিবার ইরনা গণমাধ্যমকে বলেন, ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক ইরানের সংবিধানে নারীর সুরক্ষা, সম্মান ও নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। নারীর সুরক্ষা বিষয়ক বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছে।
নারী অধিকার রক্ষার জন্য এই বিলে তহবিল, সহিংসতার শিকার হলে চিকিৎসা ব্যয় ও দক্ষতা উন্নয়নে নারীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে- বলেন আমিরি।
নারীদের জন্য বিশেষ সহায়তা
গত বছরের অক্টোবরে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসৌমেহ এবতেকার বলেন, পরিবার ও নারীদের উন্নয়নে সরকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ৩১টি প্রদেশে পরিবার ও নারী উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা আন্তঃ বিভাগীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারী-পুরুষ সাম্যতার জাতীয় সূচক চালু করেছি। পাশাপাশি নারী-পুরুষ সাম্যতা ও পরিবারে সমৃদ্ধির বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি ড্যাশবোর্ড চালু করেছি।
আগামী অর্থবছরের (মার্চ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১) জন্য বাজেট প্রণয়ন চলছে। এই বাজেটে নারীদের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা রয়েছে। বিশেষ করে নারী পরিবার প্রধান, গ্রাম্য নারী এবং কারিগর নারীদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
এবতেকার বলেন, নারী ও পরিবার বিষয়ক ক্ষেত্রে বাজেটে ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এই অর্থের পরিমাণ ৩২০ বিলিয়ন রিয়াল বা ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। এই অর্থ নারীদের বিশেষ সহায়তার জন্য ব্যবহৃত হবে।
মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবার যে মূলভিত্তি তা তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ফ্যামিলি ডায়ালগ সম্প্রতি তেহরানে শুরু হয়েছে। পরিবার ও সামাজিক সংহতিকে কার্যকরী করতে আমরা একটি পদক্ষেপ নিয়েছি।
সূত্র : তেহরান টাইমস