অগ্রসর রিপোর্ট : সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এই বিদ্যুৎ দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদঅগ্রসর কে বলেন, ‘২০২০ সালে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ চাহিদা পূরণে আমরা প্রথম পর্যায়ে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছি।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪৪৭ দশমিক ৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যা মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি’স) অর্জনের উদ্যোগ হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বৃদ্ধির কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যকসোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) স্থাপন করেছে।
অবকাঠামো উন্নয়ন কোম্পানি লিমিটেডের (আইসিডসিওএল) কার্যক্রমের অধীনে ইতোমধ্যে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়নের বেশি এসএইচএস স্থাপন করা হয়েছে, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগে অর্থায়ন এবং জ্বালানি দক্ষ প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ জোরদার করা হচ্ছে। প্রায় ১৩ মিলিয়ন সুবিধাভোগী এসএইচএস থেকে সৌরবিদ্যুৎ পাচ্ছে।
টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এসআরইডিএ) সরকারি ও বেসরকারি খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জ্বালানি দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে।
নসরুল বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে ৪৪৭ দশমিক ৫১ মেগাওয়াটসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৫,৫৯৬ দশমিক ৫১ মেগাওয়াট।
তিনি বলেন, সরকার গ্রীন এনার্জি প্লান্ট স্থাপনে বেসরকারি উদোক্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সম্প্রতি সৌর প্লান্ট থেকে ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এতে ২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রয়োজন হবে। আশা করা হচ্ছে, এরমধ্যে ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অবশিষ্ট অর্থ সরকারি এবং বেসরকারি অংশীদারদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে।
দীর্ঘমিয়াদী পরিকল্পনায় সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগামী ২০ বছরে ২৫৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪টি সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করবে। এতে ব্যয় হবে ৯,১৫৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) দুটি বৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সাংগু এবং মাতামুহুরি দু’টি এলাকা নির্ধারণ করেছে। এই দু’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৪০ মেগাওয়্টা ও ৭৫ মেগাওয়াট।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।