এদিকে খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুর সোয়া ১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানান।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির মজুমদার অবরুদ্ধ অবস্থায় মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, মুরাদের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা আমার অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আমাকে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। দুপুর দেড়টায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
কলেজ ও বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মুরাদ বারবার নানা ধরণের অপকর্ম, অনিয়ম, দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটানোর পরও অদৃশ্য শক্তির বলে এ কলেজ থেকে বদলি করার পরও সে পুনরায় এই কলেজেই চলে আসেন এবং বহাল তবিয়তে নানা অপর্কম চালিয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, তখন সে ওই দলের ক্ষমতাধরদের সাথে হাত মিলিয়ে অপকর্মের গডফাদারে পরিণত হন। পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে নকলের অবাধ সুযোগ করে দেয়া, জাল সার্টিফিকেট তৈরি করা, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরি দেয়া, ক্ষমতা ও পেশী শক্তি প্রয়োগ করে চাহিদামাফিক কাজ বাগিয়ে নেয়া, প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে ছাত্রীদের সাথে নানা আপত্তিকর ছবি উঠা ও অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোসহ নানা অপকর্মের সাথে তিনি যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, ৩/৪ দিন আগে তার এক ছাত্রীর সাথে শহরের একটি হোটেলে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার পর গণধোলাইয়ের শিকার হন। এছাড়াও তিনি প্রাইভেট পড়ানোর আড়ালে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর পাইয়ে দেয়া, ফাইনাল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয়াসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি তাজুল ইসলাম দুপুর দেড়টায় বলেন, অধ্যক্ষ স্যারকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে তাকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নানা অপকর্ম ও নারী কেলেঙ্কারির হোতা মুরাদকে অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।