আর দুই দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। শেষ মুহূর্তে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের অঞ্চল থেকে হাজারো কর্মজীবী মানুষ নদীপথে লঞ্চে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চের যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, দক্ষিণ অঞ্চলের বরিশালের মুলাদী, বরগুনা, আমতলী, চরফ্যাশন, গলাচিপা, বেতুয়া, হাতিয়া, ভোলা ও খেপুপাড়ার নয়টি লঞ্চ সদরঘাটের ওয়াইজঘাটে আসেনি। তাই এসব এলাকার মানুষ মালামাল ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পন্টুনে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন।
বরগুনার আমতলীগামী লঞ্চের যাত্রী সিরাজ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘সকাল সাড়ে আটটার দিকে টার্মিনালে এসে দেখি লঞ্চ নেই, কী করব। বাড়িতে যেতে হবে তাই পরিবার–পরিজন ও মালামাল নিয়ে লঞ্চের জন্য পন্টুনে বসে আছি।’
ভোলার মনপুরাগামী এমভি ফারহান লঞ্চের পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের লঞ্চটি সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১০টার মধ্যে যাত্রী পরিপূর্ণ হওয়ায় সাড়ে ১০টার দিকে মনপুরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
গলাচিপাগামী এমভি প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের যাত্রী ইমরুল হাসান বলেন, ‘লঞ্চ ছাড়বে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। সকাল আটটার দিকে সদরঘাটের লঞ্চে আইসা দেহি যাত্রী অনেক। তাই কোনো উপায় না পাইয়া পরিবার আর মালামাল নিয়ে সিঁড়িতে বসে আছি। কী করমু, বাড়িতে যাওয়া লাগবে।’
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে লঞ্চে যাত্রা ও নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় চলাচলকারী লোকজনের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টা থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ এসেছে ৪৬টি। আর বন্দর ছেড়ে গেছে ৪২টি লঞ্চ। তিনি আরও বলেন, লঞ্চের সংকট তেমন নেই। যেসব লঞ্চ গতকাল রাতে ছেড়ে গেছে, দুপুর নাগাদ লঞ্চগুলো ফিরে এলেই লঞ্চের সংকট থাকবে না। এ ছাড়া যাত্রীদের সহজেই নিরাপদে বাড়ি যেতে পর্যাপ্ত বিশেষ লঞ্চ সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রী উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চ চলাচল করবে।