অগ্রসর রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় শিল্পমেলা দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ, আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া জাতীয় শিল্প মেলা উপলক্ষে আজ শনিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথম জাতীয় শিল্পমেলায় এসব দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে বলে জেনে আমি খুশি হয়েছি। আমার বিশ্বাস, এ মেলা দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ, আকৃষ্ট ও উৎসাহিত করতে ইতিবাচক অবদান রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘এতে (মেলায়) অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে। ফলে আগামী দিনে বাংলাদেশে গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের প্রয়াস বেগবান হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্পখাতে নতুন উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং পণ্য রপ্তানি সহজ করতে দেশে ব্যাপক ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যুৎসহ জ¦ালানি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স¦প্নের পথ ধরে বাংলাদেশ এখন দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স¦ীকৃতি পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ধারা জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে শিল্পখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ১৭.৭৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩৩.৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে চলমান উদ্যোগের সঙ্গে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ উৎসাহিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয় ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘সিআইপি (শিল্প) পুরস্কার’ ও ২০১২ সাল থেকে ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে আসছে। বিশেষ করে, শ্রমঘন ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পের বিকাশে নীতি সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তি ও সমৃদ্ধির স¦প্ন দেখেছেন। তিনি ১৯৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং গ্রামীণ সহায়তা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালেই পূর্ব বাংলায় শিল্পায়নের বীজ বপন করেছিলেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান বিসিক প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিকাশের সূচনা হয়।
বাণীতে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো জাতীয় শিল্পমেলা ২০১৯ আয়োজন করছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং এ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান ও জাতীয় শিল্পমেলার সাফল্য কামনা করেন।