অগ্রসর রিপোর্ট: ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে অর্থ কেলেঙ্কারীর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি স্যুটকেসে করে নগদ অর্থ নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপি’কে একথা জানিয়েছে।
সারকোজিকে (৬৩) মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন, অর্থ পাচার ও শুল্ক কর্মকর্তারা প্যারিসের উপকণ্ঠে নানতেরেতে তাদের অফিসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
তার গাড়িটি মধ্যরাতে পার্কিংলট ছেড়ে গেছে। তবে তিনি গাড়িতে ছিলেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
ফরাসী আইনের আওতায় তাকে ৪৮ ঘন্টা আটক রাখা যাবে।
জানা গেছে, সারকোজির আমলের একজন সিনিয়র মন্ত্রী ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ব্রাইস হোরতেফিউক্সকেও মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
২০১৩ সাল থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের খবরগুলো খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলামের বিবৃতিগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাইফ তার বক্তব্যে ওই অর্থ সারকোজি নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয় করেন বলে দাবি করেছেন।
২০১১ সালের ইউরোনিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘সারকোজি তার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য যে অর্থ নিয়েছিলেন তা অবশ্যই তাকে ফেরত দিতে হবে।’
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনী তার বাবা গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে।
সারকোজি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি এই অভিযোগগুলোকে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ লিবীয় সরকারের সদস্যদের প্রতিহিংসামূলক অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।