এর আগে, গতকাল শুক্রবার মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মালয়েশিয়ার বিবৃতি তাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে যা এসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আশিয়ান) এর নীতির পরিপন্থী। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, একটি নির্দিষ্ট জাতির ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে তাদের অন্যত্র স্থানান্তরের অপর নাম ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরণের চর্চা এখনও বন্ধ করা উচিত। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়টি এখন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। কেননা মালয়েশিয়া ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অন্যান্য দেশে যেভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীর পরিমাণ বাড়ছে, তাতে এটি আন্তর্জাতিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলপ করেছিল মালয়েশিয়া। এ ছাড়াও মিয়ানমারের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২২ ফুটবল দলের নির্ধারিত খেলাও বাতিল করে মালয়েশিয়া।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এরই কড়া সমালোচনা করেছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়া। ২০১২ সালে রাখাইনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শতাধিক নিহতের পর এটি বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা।