অগ্রসর রিপোর্ট: সবশেষ স্বামী অভিনেতা শরীফুল ইসলাম রাজকেও তালাক দিয়ে দিলেন আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার তিনি রাজকে তালাকতামা পাঠান, যা প্রকাশ হলো বুধবার। ফলে খাদের কিনারে থাকা তারকা দম্পতির সংসার অবশেষে ভেঙেই গেল।
রাজকে পাঠানো তালাকনামায় চারটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন পরীমনি। প্রথমত, তাদের মতের মিল হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ত, কোনো কিছু নিয়েই বনিবনা হচ্ছিল না। তৃতীয়ত, রাজ তার এবং সন্তানের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন না এবং চতুর্থত, নায়িকা মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন।
সে কারণে ১৮ নং কলাম অনুযায়ী পরীমনি বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। যদিও এই নায়িকা আরও মাস ছয়েক আগেই জানান যে, রাজের সঙ্গে তিনি এই অসুস্থ সম্পর্কটাকে আর অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে চান না। একই কথা বলেছিলেন রাজও।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টে রাজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন পরীমনি। অভিনেত্রী জানান, রাজ তার কোনো এক পাতানো বোনকে সঙ্গে নিয়ে তাকে মারধর করেছেন। যদিও সেই পাতানো বোনের পরিচয় এখনো সামনে আসেনি। তার আগেই এলো তাদের ডিভোর্সের খবর।
রাজ ছিলেন পরীমনির চার নম্বর স্বামী। অনেকে আবার বলেন পাঁচ নম্বর। ২০২১ সালের অক্টোবরে ‘গুনিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে তারা সম্পর্কে জড়ান। এক সপ্তাহ পরেই ১৭ অক্টোবর গোপনে করেন বিয়ে। সেই খবর প্রকাশ করেন গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একইসঙ্গে জানান, তারা সন্তানের অভিভাবক হতে যাচ্ছেন।
সেই মতো, গত বছরের ১০ আগস্ট পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন রাজ ও পরীমনি। কিন্তু সন্তানের সেই বন্ধনও বেঁধে রাখতে পারল না দুই তারকাকে। তারা হয়ে গেলেন সাবেক দম্পতি। যদিও পরীমনির দাবি, এই ডিভোর্স তার সন্তানের বড় হয়ে ওঠায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।