অগ্রসর রিপোর্ট : নিজেকে অন্যদের তুলনায় সুন্দর দেখাতে কে না চায়? নারী-পুরুষ সবাই চায় যৌবনে পাওয়া সৌন্দর্য জীবনভর অটুট থাকুক। এই চাওয়াকে পাওয়ায় রূপ দিতে তাদের চেষ্টারও অন্ত নেই। যে কারণে দেশে-বিদেশে রূপচর্চা কেন্দ্রগুলোতে ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।
এ ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারী একটু এগিয়ে। আপন সৌন্দর্য ধরে রাখতে তারা যুগ যুগ ধরেই বিভিন্ন পন্থা ব্যবহার করছে। অনেকে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করছে না।
কিন্তু পৃথিবীর এমন একটি দেশ আছে যেখানে নারীর রূপ-সৌন্দর্য ধরে রাখতে খুব বেশি কসরত করতে হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই সেই দেশের নারীরা সুন্দরী। জন্ম থেকেই তারা অপরূপ! তাদের সৌন্দর্য বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লোপ পায় না। অর্থাৎ বয়স বাড়লেও তাদের ষোড়শী তন্বী তরুণীর মতোই দেখায়।
দেশটির নাম তাইওয়ান। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩৮ লাখ। পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অপ্রতুল হলেও তাইওয়ানে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। এখানকার নারীদের সৌন্দর্য বয়সের কারণে হেরফের হয় না। এজন্য তাদের মেকআপ বা কৃত্রিম ব্যবস্থার সাহায্য নিতে হয় না। তারা প্রাকৃতিকভাবেই ষোড়শী।
তবে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাইওয়ানের নারীরা বেশ কিছু রীতি পালন করে। নেহায়েত বিশ্বাস থেকে উদ্বুদ্ধ হলেও রীতিগুলো নারীদের জীবনাচারকে প্রভাবিত করে। প্রথমত তারা রোদ এড়িয়ে চলে। ভর দুপুরে কিংবা প্রখর রোদে যত গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকুক না কেন তারা ঘরের বাইরে যায় না। সামাজিক বিশ্বাস তারা রোদে গেলে কালো হয়ে যাবে।
সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাদের অদ্ভুত আরও একটি বিশ্বাস হচ্ছে বৃষ্টিতে না ভেজা। তাইওয়ানের অধিকাংশ নারী বিশ্বাস করে বৃষ্টিতে ভিজলে তাদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে তাদের বৃষ্টিতে ভিজতে তীব্র আপত্তি।
নিজেদের সুস্থ-সতেজ রাখতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তারা প্রচুর পরিশ্রম করে। সবাই দিনে কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা কাজ করে। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া তাইওয়ানে যোগাযোগের সব রকম আধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও তারা দ্রুত গতির যান এড়িয়ে সাইকেল ও স্কুটার ব্যবহার করে। ফলে তারা অন্য দেশের মানুষের তুলনায় অনেক বেশি সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে। মন ভালো থাকলে শারীরিক সৌন্দর্যে তার ছাপ পড়ে।