অগ্রসর রিপোর্ট : এই গ্রামে বসবাস করেন তিন হাজার মানুষ। কিন্তু এদের মধ্যে এক হাজার জনই ইউটিউবার। শুধু তাই নয়, গ্রামের প্রতিটি পরিবারেরই আয় লক্ষাধিক টাকা। শুনে অবাক হচ্ছেন? এমনই একটি গ্রাম আছে আমাদের দেশে। এই প্রতিবেদনে জানাবো সেই গ্রামেরই কথা।
ইউটিউব এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি। সারাবিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারী প্রতিদিন পাঁচ বিলিয়নের বেশি রকমের ইউটিউব ভিডিও দেখে। ইউটিউব দুনিয়া জুড়ে এতটাই জনপ্রিয় যে, ইউজাররা প্রতিদিন প্রায় ৫০ মিনিট সময় ইউটিউবে ব্যয় করেন।
বিশ্বজুড়ে ইউটিউব ইউজারদের এই বিপুল পরিমাণ চাহিদাকে মাথায় রেখে নতুন একটি পেশা হিসেবে গড়ে উঠছে ইউটিউবিং। অর্থাৎ ইউটিউব কন্টেন্ট বানিয়ে টাকা আয়ের পেশা। আমাদের দেশের প্রচুর কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এখন ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরী করে সেখান থেকে টাকা আয় করে থাকেন।
তবে এই ভিডিওর মূল উদ্দেশ্য ইউটিউবিং শেখানো নয়। বরং জানাবো এমন এক গ্রামের কথা যে গ্রামের মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশই ইউটিউবার! আর প্রায় প্রতি পরিবারেরই আয় লক্ষাধিক টাকা।
সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রাইপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে তুলসী নামের এই গ্রামে সাকুল্যে তিন হাজার জন বসবাস করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এক হাজার জনই ইউটিউবার। এদের মধ্যে কেউ কমেডিয়ান, কেউ যাত্রার সঙ্গে জড়িত। বাচ্চা, বুড়ো সকলেরই কোনও না কোনও শিল্পীসত্তা রয়েছে।
কৃষিকাজ আর দশটা গ্রামের মত এই গ্রামেরও জীবিকার অন্যতম উপায়। কিন্তু বর্তমানে স্মার্টফোনের যুগে এই গ্রামের যুবক-যুবতীরা পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউবে নিজেদের শিল্পীসত্তা আপলোড করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছেন। তবে তাঁদের মধ্যে সবাই যে সফল তা কিন্তু নয়, অনেকে আবার অসফলও হয়েছেন ইউটিউবার হিসাবে। এই গ্রামের অধিকাংশ ইউটিউবার হাসির ভিডিয়ো তৈরি করেন। সেইজন্য এই গ্রাম ‘লাফটার চ্যাম্পিয়ন’দের গ্রাম নামেও এলাকায় পরিচিত।
সন্দীপ সাহু নামে গ্রামের এক ইউটিউবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন ইন্টারনেট আর স্মার্টফোনের যুগ। ফলে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে নানা রকম ভিডিয়ো আপলোড করেন। আর সেখান থেকে অর্থ উপার্জনও করছেন।
বর্তমানে প্রথাগত চাকরি, ব্যবসা এবং চাষাবাসের পাশাপাশি ইউটিউবিং এক নতুন পেশা হিসেবে এদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।