স্টাফ রিপোর্টার: মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে মন্টারির কাছে একটি কারাগারে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে দুই দল কয়েদির মধ্যে দাঙ্গায় ৪৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১২ জন।
দেশটির নুয়েভো লিয়ন রাজ্যের গভর্নর জেইম রড্রিগুয়েজ বলেন, টোপো শিকো নামের ওই কারাগারে বন্দীরা ধারালো অস্ত্র, ব্যাট ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কারাগারের গুদাম ঘরেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোন বন্দী পালাতে পারেনি।
গভর্নর রড্রিগুয়েজ এর আগে নিহতের সংখ্যা ৫২ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
কারাগারের বাইরে কয়েদিদের স্বজনেরা ভেতরের অবস্থা জানতে চেয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধকারীদের আটকে দিলে তারা কারাগারের ফটক ধরে টানাটানি করতে থাকে। ভেতরে লাঠি ও ইট ছোড়ে। আরনেসতিনা নামের এক কারাবন্দীর মা বলেন, ভেতরের কারাবন্দীরা কেমন আছে, এ ব্যাপারে তাদের কিছু জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাদেরকে ঢুকতে দেয়া হবে না। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং আমাদের কেউ কিছু বলছে না।’
দাঙ্গার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে অনেক কয়েদি বিভিন্ন নামে একের অধিক বার তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন।
নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শণাক্ত করা হয়েছে।
রডরিগেজ বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে দাঙ্গা শুরু হয় এং ৩০-৪০ মিনিট তা স্থায়ী হয়। দাঙ্গাকারীরা একটি স্টোররুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, দাঙ্গায় এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত মাদক পাচারাকারী সংগঠন জেটাসের সদস্য জুয়ান পেড্রো জালদিভার ফারিয়াস। তিনি জি-২৭ নামেও পরিচিত। আর অন্য দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন গালফের সদস্য জর্জ ভ্যান হার্নান্দেজ কান্টু।
তিনি বলেন, নিহত যে ৪০ জনের পরিচয় শণাক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে দুই দলের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা নেই।
তিনি আরো বলেন, নিহতরা সবাই পুরুষ কয়েদি এবং আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।