অগ্রসর রিপোর্ট:হাতে তৈরী বন্দুক এবং গ্রেনেড নিয়ে সামরিক বাহিনীর ক্র্যাকডাউনের প্রতিবাদ করেছেন মিয়ানমারের অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। তবে, বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) আরো ১১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
মিয়ানমার নাও সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের তাজে শহরের বিক্ষোভ থামাতে ছয় ট্রাক বোঝাই সেনা মোতায়েন করা হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা বন্দুক, ছুরি এবং বোমা নিয়ে লড়াই শুরু করেন। জবাবে সেনাবাহিনী আরো পাঁচ ট্রাক সেনা সদস্য নিয়ে আসে।
মিডিয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই লড়াই অব্যাহত ছিল। ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। সৈন্যদের মধ্যে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে, এই পর্যন্ত ৬০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এর আগে, বুধবার (৭ এপ্রিল) সেনাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার সংঘাতে এই শহরে আরো ১২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
এই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা এবং মানবাধিকার কর্মী বলেন, “তাজে ও কালে অঞ্চলের জঙ্গলে অনেক শিকারি বাস করেন। তাদের কাছে হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এবং এখন তারা স্থানীয়দের রক্ষা করার জন্য তাদের অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন।”
অভ্যুত্থানের পর থেকে এপর্যন্ত ২ হাজার ৮৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মিডিয়া। এছাড়াও, কয়েক হাজার প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং সংগীতজ্ঞ সহ, এই সপ্তাহে আরো শতাধিক ব্যক্তির জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সামরিক জান্তা।
সূত্র: রয়টার্স