অবশ্য এই পদ্ধতি এখনো শুধু পরীক্ষাগারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, মাঠপর্যায়ে এটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।
এই গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অধ্যাপক এ্যান্থনি জেমস বলেন, ‘আমরা এমন একটি জিন তৈরি করতে পেরেছি যেগুলো মশার কোষে ঢোকানোর পর সেগুলো ম্যালেরিয়া জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারছে।’
‘আমাদের হাতে এখন এমন প্রযুক্তিও আছে যাতে এই জিন ব্যাপক সংখ্যায় মশার ভেতর ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এই কাজ এতটাই দ্রুত করা সম্ভব যে কার্যকরীভাবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ সম্ভব হবে’- এভাবেই বিবিসির কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন জেমস।
প্রফেসর জেমস এমন কথাও বলেন যে, পৃথিবী থেকে ম্যালেরিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা এখন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, যেটা আশা করা হচ্ছে তা হল বিশ্বের আনাচে-কানাচে যেখানেই মশার বসবাস, সেখানেই এই জিন ছড়িয়ে পড়বে এবং ওই সব মশা আর ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহন করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ম্যালেরিয়ায় মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা তুলনা করে এই পদ্ধতির সাফল্য নির্ণয় করা সম্ভব।
কবে নাগাদ মাঠপর্যায়ে এই গবেষণার কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু হবে তা এখনো বলা হয়নি।
ম্যালেরিয়ার কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর পাঁচ লাখ লোকের মৃত্যু হয়, যার বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে।
যদিও এই শতাব্দীর শুরুর সময় থেকে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমে গেছে। কিন্তু মশার মধ্যে এখন ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।