তিনি রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময় মাওপন্থি কমিউনিস্ট তথা বামধারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার অনুসারীদের অনেকে এ জন্য তাকে ‘লাল মওলানা’ নামেও ডাকতেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের দওয়ালাইকুমুসসালামদ বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত দেন।
মওলানা ভাসানী সারাটা জীবন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ব্যয় করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের জীবনে কখনো কোথাও মাথা নত করেননি। আপসহীন থেকেছেন নিজের আদর্শের প্রতি। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধারণ করে মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে ছিলেন অবিচল। শুধু ব্রিটিশ নয়, পাকিস্তান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তিনি জীবনপণ লড়াই চালিয়েছেন। এই সকল লড়াই-সংগ্রামের জন্য জেল, জুলুম, হুলিয়াসহ নানা নির্যাতনের শিকার হন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবদান অবিস্মরণীয়।
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে ভাসানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, প্রদীপ প্রজ্বালন, লালনগীতি ও কবিতাপাঠ।
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ আসাদ পরিষদ তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, কবিতাপাঠ, লালনগীতি ও ১৩৬টি প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে এই প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠিত হবে।