অগ্রসর রিপোর্ট: ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে উগ্বিগ্ন না হতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি ফিরে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উনি ঝিনাইদাহ থেকেই কলকাতায় গিয়েছেন বলে শুনেছি। তার মেয়েরা বলেছেন, তার আর খোঁজ খবর নেই। ইনশাল্লাহ তিনি চলে আসবেন। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খেয়াল রাখছি। আমাদের অথোরিটিকে জানানো হয়েছে। আমার মনে হয়, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এমন তো নয় সেখানে মিয়ানমারের মতো মারামারি লাগছে। আমার মনে হয় খবর পাওয়া যাবে। ’
জানা গেছে, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান আনোয়ারুল আজিম। প্রথমে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরের মন্ডলপাড়া লেনে পূর্ব পরিচিত গোপাল বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন। পরের দিন ১৩ মে ডাক্তার দেখাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
বরাহনগর বিধান পার্ক কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে গাড়িতে উঠেন। যাওয়ার সময় গোপাল বিশ্বাসকে বলে যান দুপুরে ফিরবো না, সন্ধ্যায় এসে খাবো। কিন্তু তার ফিরে আসার কথা থাকলেও আর ফেরেননি।
এ ঘটনার পর স্থানীয় থানায় আনোয়ারুল আজিমের নিখোঁজের বিষয়ে ডায়েরি করেন গোপাল বিশ্বাস। ডায়েরিতে তিনি বাংলাদেশি এমপির বিষয়ে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
এতে তিনি আরও বলেছেন, সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে আনোয়ারুল আজিম জানান, আমি বিশেষ কাজে দিল্লিতে যাচ্ছি। দিল্লি গিয়ে ফোন করব, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই।
এরপর ১৫ মে বেলা সারে ১১টার দিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার গোপাল বিশ্বাসকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বলেন, আমি দিল্লি পৌঁছালাম, আমার সঙ্গে ভিআইপি-রা আছে, ফোন করার দরকার নেই।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ জোন) অনুপম সিং বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা আসেনি। তাকে ফোন করা হলে তার ফোন বাজে, কিন্তু তিনি ফোন ধরছেন না।
যদিও তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ জোন) অনুপম সিং।
পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-দূতাবাস। সেখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি।
এদিকে এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন তার বাবার খোঁজ পেতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দ্বারস্থ হয়েছেন। রবিবার বিকালের দিকে তিনি মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে যান।
ডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাবার নিখোঁজের বিষয়ে অবহিত করতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।