ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেল উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পরীক্ষামূলক ট্রেন। ট্রেনটির চালক হিসেবে ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮.৪০ মিনিটে ভাঙ্গার বামনকান্দা রেল জংশন থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন রেল প্রকল্পে চায়না ইঞ্জিনিয়ার, সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিক নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেললাইনের আশপাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকাল ৮.৪০ মিনিটে উচ্চ গতি সম্পন্ন এই পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ১২০ কিলোমিটার গতিতে যশোর পৌঁছাইতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। পরদিন আবারও ৩১ মার্চ সকালে রূপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। এভাবে কয়েকবার পরীক্ষামূলক ট্র্যায়েল ট্রেন চলাচল করবে।
এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলার বামনকান্দা রেলওয়ে সেফটি ইনচার্জ শেখ নাছিম জানান, ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগতো যেখানে ৪/৫ ঘণ্টা। সেখানে আজ নতুন রেললাইন দিয়ে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। আজ শনিবার সকাল যশোরের রূপদিয়ে উদ্দেশ্যে ৫টি মালবাহী বগি নিয়ে ট্রেন ছেড়ে গেল। এবার যশোর থেকে ভাঙ্গা ফিরে আসবে। আজ বেলা ১২দিকে ৫টি মালবাহী ও আরও ৫টি যাত্রীবাহী ট্রেন যশোর রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আগামীকাল রোববার সকাল থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি ট্র্যায়েল ট্রেন যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গায় ফিরে আসবে। দুপুরে ভাঙ্গা থেকে পুনরায় আবার যশোর এবং যশোর থেকে ভাঙ্গায় আসবে।
ঈদের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রেলপথ উদ্বোধন করা হবে। নতুন রেলপথ চালু হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ভাগ্য আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।