অগ্রসর প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রেনেড হামলা, দুঃস্থদের টাকা আত্মসাৎ মামলার আসামিদের নির্বাচিত করা হয়েছে বিএনপির শীর্ষ পদগুলোতে।
তিনি বলেন, বিএনপির কাউন্সিল হচ্ছে একটা নাটক। কাকে নির্বাচিত করল? দুজনই আসামি, একজন এতিমের টাকা চুরি করার মামলার আসামি, আরেকজন তো ২১ অগাস্ট মামলার পলাতক আসামি, তার নাম ইন্টারপোলে ওয়ান্টেড তালিকায় আছে।
সোমবার বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর দল মানুষকে কী দেবে? তারা এদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে অন্ধকার থেকে টেনে তুলে এনেছেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন, তিনি নীতির প্রশ্নে আপোস করেন নি। স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে গেছেন। মর্যাদা দিয়ে গেছেন। বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেন তিনি। তারপর থেকে ছয়দফা, তারপর স্বাধীনতা এভাবে ধাপে ধাপে তিনি এগিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার প্রস্তুতি তিনি নিয়েছিলেন সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আজ সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতেই সবাই বুঝে গেছেন কি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সব প্রস্তুতি আগে থেকেই রেখে গিয়েছিলেন। কিভাবে যুদ্ধ হবে, কোথা থেকে অস্ত্র আসবে সবই হিসেব করা ছিল। একটা গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন হতে দিবে না। তারা মানুষ পুড়িয়েছে। ককটেল দিয়ে আগুন দিয়ে তারা আন্দোলন করবে। সরকার উৎখাত করবে। কিন্তু আমরা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করিনি। হাজার হাজার মানুষ দগ্ধ অবস্থায়। আমরা এখনো সেই চিকিৎসা করছি।