অগ্রসর রিপোর্ট : পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে জো বাইডেনকে বিজয়ী করা থেকে বিরত রাখতে আদালতে মামলা করেছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা দল। সেখানে ফেডারেল জজ পরিচিত রিপাবলিকান হওয়ায় আশা দেখছিলেন ট্রাম্পও। তবে সেই আশা হতাশায় পরিণত হয়েছে ট্রাম্পের। আরও জুটেছে বিচারকের তিরস্কার।
পেনসিলভেনিয়ায় ফল অনুমোদন রুখতে এবং ৭০ লাখ পোস্টাল ভোট বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে আবেদনের পক্ষে শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন না করায় মামলা শনিবার খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক ম্যাথিও ব্র্যান। খবর রয়টার্সের।
মামলায় বিচারক ম্যাথিও বলেন, বাদীরা আদালতকে প্রায় ৭০ লাখ ভোটারকে অধিকার বঞ্চিত করতে বলেছে। নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় বাদীরা যে কঠোর প্রতিকার চেয়েছে, তেমন কোনো ঘটনা খুঁজে পায়নি এই আদালত।
আবেদনের পক্ষে বাস্তবিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় তিরস্কার করে বিচারক বলেন, কেউ যখন এমন চমকপ্রদ পরিণতির আশা করে, তখন বাদীকে শক্ত আইনি যুক্তি এবং ব্যাপক দুর্নীতির বাস্তবিক প্রমাণে সজ্জিত হয়ে আসতে হয়, যেন তাদের প্রস্তাব মেনে নেয়া ছাড়া আদালতের কাছে আর কোনো বিকল্প না থাকে। কিন্তু, এমনটি ঘটেনি। এর পরিবর্তে আদালতে যোগ্যতাহীন এবং কল্পনাপ্রসূত অভিযোগের দুর্বল আইনি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে, যার কোনো প্রমাণও নেই।
আদালতের মূল্যায়নে বিচারক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ জনবহুল অঙ্গরাজ্যকে বাদ দেন, এখানে একজন ভোটারকেও অধিকার বঞ্চিত করা যায় না। আমাদের জনগণ, আইন এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি আরও বেশি।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে অনেক এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে ট্রাম্প সেই ফল মানতে নারাজ। তার দাবি, এখনো জিততে পারেন তিনি। তবে তার জন্য সেই পথ অনেকটাই রুদ্ধ করে দিলো পেনসিলভেনিয়া আদালত। কারণ, বাইডেনের সঙ্গে ভোটে টক্কর দিতে পেনসিলভেনিয়ায় মামলায় জেতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ট্রাম্পের।
গত ৩ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক ভোটগ্রহণের পর থেকেই ব্যালট কারচুপি, মৃত ভোটার এবং ভোট গণনায় দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প। শুরুতেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে ফল বাতিল চেয়ে আবেদন করলেও তাতে হারতে হয়েছে ট্রাম্পকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলো ফল অনুমোদন করে কেন্দ্রে পাঠানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।