পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা কারণে বাংলাদেশে অবহেলিত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শিল্পমাধ্যম নৃত্য। এমন বাস্তবতায় দেশজ নৃত্যশিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং নৃত্যশিল্পীদের সহায়তায় গঠিত হয়েছে নতুন প্ল্যাটফরম নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বিশিষ্ট শিল্পীদের সম্মিলনে সৃষ্ট সংগঠনটি। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর পাশাপাশি সারা দেশের নৃত্যশিল্পীদের স্বার্থে ও নৃত্যশিল্পের উন্নয়নে কাজ করবে ফাউন্ডেশন।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা হবে নৃত্যশিল্পীদের। বিলুপ্তির পথে ধাবমান লোকজ ও বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নৃত্যশৈলী টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নৃত্যবিষয়ক তথ্য নথিকরণ, আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন, নৃত্যপ্রবাহ শীর্ষক দ্বিবার্ষিক অনলাইন পত্রিকা প্রকাশসহ বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন।
আগামী ২৯ এপ্রিল বিশ্ব নৃত্য দিবসে ফাউন্ডেশনের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
বরেণ্য নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসানকে সভাপতি এবং দীপা খন্দকারকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছে সংগঠনের ৪২ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপা খন্দকার। তিনি বলেন, বাংলা ভূখণ্ডের নৃত্যকলার ইতিহাস প্রাচীন হলেও তার সুসংবদ্ধ লিখিত কোনো রূপ নেই। নৃত্যকলার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিষয়টিও এ দেশে নতুন।
জনগণের মধ্যে নৃত্যকলা সম্পর্কে চেতনার কাঙ্ক্ষিত প্রসার ঘটেনি। দেশজ নৃত্যশিল্পের বিকাশ এবং নৃত্যশিল্পীদের উন্নয়নের প্রত্যয়ে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দীপা খন্দকার বলেন, ‘শিকড়ের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে ফাউন্ডেশন অনুসন্ধান করবে আমাদের ঐতিহ্য সঞ্জীবিত একটি নৃত্যকলা ধারার। গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে অনলাইন দ্বিবার্ষিক পত্রিকা প্রকাশ, দুই নৃত্যগুরু গওহর জামিল ও জি এ মান্নানের জীবনদর্শন ও সৃষ্টির ওপর নৃত্য কর্মশালা এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পূর্ণিমা ঘোষের তত্ত্বাবধানে রবীন্দ্র কর্মশালা।