অগ্রসর রিপোর্ট : মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক ক্রাইমস’ আখ্যা দিয়েছে দেশটিতে কর্মরত সংবাদকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত কয়েকশ সাংবাদিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের হেডকোয়ার্টার্সের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে।
প্রভাবশালী মার্কিন আরেক গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, ‘রাইটার্স ব্লক’ নামে একটি সংগঠন এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। প্রথমে তারা ব্রায়ান্ট পার্কে জড়ো হয়। পরে নিউ ইয়র্ক টাইমসের মূল ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং একপর্যায়ে তারা কার্যালয়ের লবিতে প্রবেশ করে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে তারা এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভের সময় তারা বাইডেনকে গণহত্যায় সমর্থনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে। এছাড়া ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে ইহুদি এই রাষ্ট্রটি নির্মুলেরও আহ্বান জানান তারা।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস যুদ্ধাপরাধ করছে এবং জো বাইডেন ইসরাইল কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যায় সমর্থন দিচ্ছেন, যা তিনি লুকাতে পারবেন না। নিউ ইয়র্ক টাইমস কর্তৃপক্ষও গণহত্যায় সমর্থন ও পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন লুকাতে পারবে না।
বিক্ষোভকারীদের প্লাকার্ড ও স্লোগানে ‘গাজা মুক্ত করো’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘ইহুদিবাদি গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘এখনই যুদ্ধ বিরতি দাও’ ‘নদী থেকে সমুদ্র পর্যন্ত ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে’ ইত্যাদি বক্তব্য উঠে আসে।
এছাড়া নিউ ইয়র্ক টাইমসের আদলে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক ক্রাইমস’ হেডলাইনে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রদর্শন করে বিক্ষোভকারীরা। ক্রোড়পত্রে ‘যুদ্ধ বিরতি দাও’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হাজার হাজার নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের তথ্য তুলে ধরা হয়। বিক্ষোভকারীরা নিহতদের নাম পড়ে শোনান। এতে ইসরাইলি হামলায় প্রায় ৩৬ জন সাংবাদিক নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আগাথা জেমস (৩১) নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ফিলিস্তিনে গণহত্যায় সমর্থনের প্রতিবাদ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বানে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এর সম্পাদকীয় বোর্ডকে স্পষ্ট বার্তা দিতে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও এপি।