অগ্রসর রিপোর্টঃ নিউইয়র্কে গতরাতে এক বন্দুকধারী গুলি করে বাংলাদেশী দুই নাগরিককে হত্যা করেছে। এ সময় দুই বাংলাদেশী একসঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুল জেনারেল শামীম আহসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আজ সকালে ফোনে বাসস’কে জানান, ‘শনিবার বিকেলে এক বন্দুকধারীর গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিক মসজিদের এক ইমাম ও তার সহযোগীর মৃত্যুর ঘটনার বিষয় আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’
আহসান জানান, ঘটনার পরপরই ৫৫ বছর বয়স্ক ইমাম মাওলানা আকুঞ্জিকে নিকটবর্তী জামেকো হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার মৃত্যু ঘোষণা করা হয় এবং তার সহকারী ৬৫ বছর বয়স্ক তারা মিয়া গুলিতে আহত হওয়ার ৪ ঘন্টা পরে মারা যান।
তিনি বলেন, ‘খবর শোনার পরপরই আমরা দ্রুত হাসপাতারে পৌঁছাই…বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আমরা নিউইয়র্ক পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করছি এবং আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য হসপিটালের ফরমালিটিও শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছি।’
নিউইয়র্ক পুলিশের (এনওয়াইসিপিডি) বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, বন্দুকধারী পেছন দিকে থেকে দুই পথচারী কাছাকাছি পৌঁছায় এবং ওজন পাস্টের পাশে স্থানীয় সময় বিকেল ১টা ৫০ মিনিটে খুব কাছে থেকে উভয়ের মাথায় গুলি করে।
নিউইয়র্ক পুলিশের মুখপাত্র টিফফানি ফিলিপস সাংবাদিকদের বলেন, হত্যার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি এবং এই দুই ব্যক্তিকে তাদের বিশ্বাসের কারণে টার্গেট করা হয়েছে এমন কোন আলামত এখনো পাওয়া যায়নি।
রয়টার সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, ঘটনার সময় নিহত দুই জন ধর্মীয় পোশাকে ছিলেন এবং মাঝারি গড়নের বন্দুকধারী সর্ট পোশাক ও ডার্ক পোলো শার্ট পরিহিত ছিলেন। হাতে বন্দুক উঁচিয়ে ওই ব্যক্তির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা এভাবেই তাকে দেখতে পায়।
মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের নির্বাহী পরিচালক আসাফ নসর বলেন, কান্ডজ্ঞানহীন এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী অপরাধীকে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
রিপোর্টে আকুঞ্জিকে একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি ওজন পার্ক এলাকায় বৃহত্তম মুসলিম সমাজে প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন উল্লেখ করে প্রতিবেশীরা জানায় প্রায় দুই বছর ধরে তিনি মসজিদে ইমামতি করে আসছেন।
হত্যার পরপরই এই ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ন্যায়বিচার চেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে র্যালি বের করে।