রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রায় ৮ সহস্রাধিক সদস্য মাঠে থাকবে। এর আগে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ৫৩টি কেন্দ্রকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করে আবেদন জানিয়েছিলেন। আমরা একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ১৩৭টি কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি। এগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, শহরের ৮টি, সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ও শীতলক্ষ্যার পূর্ব তীরে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী এলাকা। এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের এলাকাকে ‘বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করে সেখানে ‘বাড়তি ফোর্স’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। যে ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্যের নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে, তার মধ্যে ১০ প্লাটুনই থাকবে সিদ্ধিরগঞ্জে। তারা দু’টি স্থানে অবস্থান নিয়ে টহলে থাকবেন। এছাড়া শহর এলাকায় সাত প্লাটুন ও বন্দর এলাকায় পাঁচ প্লাটুন বিজিবি থাকবে।
এদিকে বুধবার র্যাবের ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে নেমেছে। প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন করে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিম টহলে থাকবে।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈঠকে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ভোটের সময় শিল্প পুলিশের ২০০ জন সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান। তারা বলছেন, ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্ত্রসহ সাতজন পুলিশ, অস্ত্রসহ তিনজন ব্যাটালিয়ন আনসার, অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপর ১৪ সদস্যসহ মোট ২৪ জন থাকবেন প্রতিটি কেন্দ্রে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ ৭টি রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থী, ২৭টি ওয়ার্ডে ১৫৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ৯টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।