উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয়া হ্নীলা নাটমুরা পাড়ার জেলে পল্লীর বাসিন্দা আশিষ ও সুমন্ত্র দাশ জানান, নদীর মাঝ পথ থেকে হঠাৎ নারী-শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে যাই আমরা। রাতের আবছা আঁধারে তেমন কিছুই দেখতে পায়নি। সামনে একজনকে পেয়ে নৌকায় তুলে নিয়েছিলাম। বাকিদের অনেক চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারিনি। মিয়ানমারের বিজিপির ভয় থাকায় বেশি খোঁজ করাও সম্ভব হয়নি। সকালে তারা নাফ নদীতে তিনটি মরদেহ ভাসতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
ছোট নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে তারা মনে করছেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে হ্নীলা এলাকায় পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাবাহী চারটি নৌকা ফেরত পাঠাল বিজিবি
এদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় মিয়ানমারের রোহিঙ্গাবোঝাই চারটি নৌকাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ বলেন, গতকাল রোববার রাত ১০টার থেকে আজ সোমবার সকাল ছয়টার মধ্যে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা চারটি নাফ নদীর তিনটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিজিবির বাধা পেয়ে নৌকাগুলো মিয়ানমারের দিকে ফিরে যায়। প্রতিটি নৌকায় ১২ থেকে ১৫ জনের মতো শিশু, নারী ও পুরুষ ছিল।