এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সম্প্রতি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে দেশের আট বিভাগের দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এসব ঘর উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য এই পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী তাসমীন আরা আজমিরী স্বাক্ষরিত আদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিমকে চট্টগ্রাম, অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সেনকে ঢাকা, অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা মজিদকে রংপুর ও রাজশাহী, অতিরিক্ত সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনকে খুলনা ও বরিশাল এবং অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগমকে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিসটেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা।
কী শর্তে ঘর দেওয়া হবে সেজন্য একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা অনুসরণ করে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টরা সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করেছেন। কারও এক বা দুই শতাংশ জায়গা আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর আছে কিন্তু তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, তাদের এই ঘর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যে পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই বা পুরুষ সদস্য আছে কিন্তু তার বয়স ৬৫ বছরের ওপরে এমন পরিবারকেও ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে নদীভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তারাসহ বেদে ও হিজড়ারা তো রয়েছেই।
জানা গেছে, টিআর ও কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দরিদ্রদের এক লাখ ২৫ হাজার নতুন ঘর তৈরি করে দেবে সরকার। প্রথম পর্যায়ে গত বছর দুর্যোগ প্রশমন দিবসে প্রধানমন্ত্রী ১১ হাজার ২৭৩ দুর্যোগ সহনীয় ঘর উদ্বোধন করেন।