বাংলাদেশে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির হার, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বেশি। এ ধরনের সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়াকে অস্বাভাবিক প্রবণতা বলে মনে করছেন গবেষকরা। গতকাল রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক সেমিনারে এমন আলোচনা উঠে আসে।
এসময় বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন জানান, ৩ মাসের ব্যবধানে দেশে ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে সাড়ে ৩ হাজার। সমাজে আয়, সম্পদ ও ভোগের বৈষম্য বাড়ছে। তাই, বৈষম্য কমাতে হলে উন্নয়নের সুষম বন্টন দরকার বলে মনে করেন তিনি।
বিনায়ক সেন বলেন, এই দেশে ধনীরা আরও ধনী হয়; গরীবও ধনী হয়, কিন্তু ধনীদের আরও ধনী হওয়ার প্রবণতাটা একটু বেশি। এ কারণে, অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বৈষম্যের প্যাটার্নটাও আলাদা। দেশে মানব উন্নয়ন, দারিদ্র্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেক বৈষম্য রয়েছে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, শুধু আয়ের অসমতা নয়, বৈষম্য বেড়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রেও। কর্মসংস্থানের জন্য যে দক্ষতা দরকার, সেখানেও ঘাটতি রয়েছে। প্রাইমারি শিক্ষার বাজেট বেড়েছে, তবে আনুপাতিক হারে বাড়েনি।
গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসার হচ্ছে না, প্রসার হচ্ছে সংখ্যায়। প্রাইমারি শিক্ষার ভিত্তি খারাপ হলে সেটার প্রভাব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়েও পড়ে।
আলোচনায় জানানো হয়, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পূর্বশর্ত হিসেবে সবার জন্য মানসম্মত ও বৈষম্যমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির তাগিদ দেয়া হয়।