অগ্রসর রিপোর্ট : মহাবিশ্বে অনেক মৃত গ্যালাক্সির সন্ধান মিললেও এই প্রক্রিয়া কীভাবে ঘটে তা সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না জ্যোতির্বিদরা। তবে এবার দূরবর্তী একটি গ্যালাক্সির মৃত্যু প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ এসেছে তাদের সামনে। জ্যোতির্বিদদের মতে এর ফলে তার আরো ভালোভাবে মহাবিশ্বের গঠন বুঝতে পারবেন।
যখন নক্ষত্র গড়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় তখনই মৃত্যু হয় গ্যালাক্সির। অসাধারণ এই প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে এবার স্পষ্ট ধারণা মিলতে যাচ্ছে। যে গ্যালাক্সিটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এটি প্রতি বছর হারাচ্ছে ১০ হাজার সূর্যভর। এর অর্থ দাঁড়ায় নতুন নক্ষত্রের গঠরে জন্য যে জ্বালানি প্রয়োজন এটি তা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে।
ইতোমধ্যে পর্যবেক্ষণ করা গ্যালাক্সির অর্ধেক গ্যাস নিঃশেষ হয়েছে। তারপরও এটি আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির চেয়ে কয়েক শ গুণ দ্রুততার সঙ্গে নক্ষত্র তৈরি করতে পারছে। এটি আরো শত কোটি বছর নক্ষত্র তৈরির পর মারা যাবে। জ্যোতির্বিদরা এই গ্যালাক্সিটির মৃত্যু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য জানবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্ষয়ে যাওয়া এই গ্যালাক্সিটি ৯ শ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ভাবা হচ্ছে, এই নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে অন্য একটি গ্যালাক্সির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে। তৈরি হয়েছে আইডি২২৯৯ গ্যালাক্সিটি। জ্যোতির্বিদরা গুরুত্ব দিয়ে সেসব বিষয়েই লক্ষ্য করেন যেগুলো কসমসে অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে। প্রায় ৪৫০ কোটি বছর সময়কালের মধ্যে।
এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন, নক্ষত্র গঠনের উপাদানগুলো যখন স্পেসে ছড়িয়ে তখন গ্যালাক্সির মৃত্যু শুরু হয়। তবে নতুন গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে সংঘর্ষের ফলেও মৃত্যু হতে পারে গ্যালাক্সির। এর অর্থ দুটি ঘটনাও একসঙ্গে কোনো গ্যালাক্সির মৃত্যুর কারণ হবার মতো। একীভূত হওয়ার পর যখন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, তখন গ্যালাক্সির সে মৃত্যু ঝড়োপ্রবাহের কারণে মৃত্যুর মতোই দেখায়।
সূত্র: ইনডিপেন্ডেন্ট ইউকে।