তিনি বলেন, ‘আমরা খুব চেষ্টা করছি রাস্তায় যেন যানজট দেখা না দেয়। আস্তে হলেও যেন যানবাহন চলাচল করে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শাহবাগ, মৎস্যভবন, কাকরাইল ও বিজয়নগর হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত র্যালি বের হয়। র্যালির কারণে ওইসব এলাকার সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে। সড়কে যেন যানবাহনগুলো স্থবির হয়ে আছে। যে কারণে সাধারণ মানুষকে প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এই কর্মসূচির কারণে রাজধানীর প্রেসক্লাব থেকে শাগবাগ পর্যন্ত অংশে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আর এই সড়ক বন্ধ থাকার প্রভাব গিয়ে পড়েছে আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে। গাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে যাত্রীদের একাংশ গাড়ি ছেড়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওয়ানা হয়। হাঁটতে অনভ্যস্ত রাজধানীবাসীর জন্য এটা এক বিড়ম্বনা।
যাদের হাঁটার উপায় ছিল না, তাদের জন্য বিড়ম্বনা আরও বেশি। বিশেষ করে যাদের জরুরি কাজ রয়েছে, তারা পড়ে দুশ্চিন্তায়।
মূল সড়কে চলতে না পারা গাড়িগুলো এক পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করে আশেপাশের সড়ক ধরে। আর এই চেষ্টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পাশে বকশিবাজার, ঢাকা মেডিকেল মোড়, পলাশী, নীলক্ষেত এলাকাতেও ছড়া যানজট। শাহবাগ হয়ে চলাচল করতে না পারায় এলিফেণ্ট রোড, মিরপুর রোড, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত আটকে থাকে হাজারো গাড়ি। একইভাবে গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিলে আটকে পড়ে ফার্মগেট বা মিরপুর রোড হয়ে চলাচলাকারী গাড়িগুলো। পুরান ঢাকাতেও বাধে যানজট।