কানাডার টরন্টোর দুর্গা বাড়ির স্থায়ী মঞ্চে ‘তুমি রবে নীরবে, সাদি মহম্মদ’ শিরোনামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রবীন্দ্র সংগীতের আবহ সুর বাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। স্মৃতি তর্পণ, কথা, কবিতা, গানে প্রয়াত সংগীত শিল্পী, রবীন্দ্র সংগীতে অন্তপ্রাণ সাদি মহম্মদকে স্মরণ করল কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
মঞ্চে শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। আর মঞ্চের পাশে রাখা ডায়াসে এসে দাঁড়িয়ে প্রয়াত সংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদের সতীর্থ, সহপাঠী, সহকর্মী, শিল্পীর সরাসরি ছাত্র, সংবাদকর্মী, গুণমুগ্ধরা স্মৃতিচারণ করেন। কেউ কেউ প্রথিতযশা এই রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীকে খুব কাছ থেকে কিভাবে, কেমন দেখেছেন তার বর্ণনা দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- লেখক, সংগঠক সাদী আহমেদ, সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, মানু হালদার, রাখাল সরকার, রিয়েলটর শান দে, নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক সুলতানা হায়দার, কবি দেলওয়ার এলাহী, আলী আজগর খোকন, জ্যোতি দত্ত পুরকায়স্থ ও রাশেদ শাওন।
অকাল প্রয়াত শিল্পীর পাওয়া, না পাওয়া, তাঁর পরিবার ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিল্পীর শহীদ বাবা সলিমউল্লাহের কথা, মা ও পরিবারের সঙ্গে শিল্পীর ঘনিষ্ঠতা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন বক্তারা।
কথার ফাঁকে ফাঁকে সংগীত পরিবেশন করেন চীত্রা সরকার, নাহিদ কবির কাকলি, মৈত্রেয়ী দেবী, ফারহানা শান্তা, সঙ্গীতা মুখার্জি, বাবলু হক, শিখা আখতারি, আরিয়ান হক ও অনিরুদ্ধ সুর।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন হিমাদ্রী রায়। নৃত্য পরিবেশন করেন বিপ্লব কর ও তার দল, অরুণা হায়দার এবং সীমা বড়ুয়া। হিমাদ্রী রায়ের আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
প্রসঙ্গত, সাদি মহম্মদ ১৩ মার্চ আত্মহত্যা করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় নিজ বাসভবন থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সদ্য প্রয়াত এই শিল্পীর জন্ম ৪ অক্টোবর ১৯৫৭ সালে। সাদি মহম্মদ ছিলেন একজন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।