অগ্রসর রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে আজ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের এই দিনে কিছু বিপদগামী সৈনিক নৃশঃসভাবে হত্যা করে।
এ সময় বাংলাদেশ সশ¯্রবাহিনীর একটি চৌকস দল বাঙালি জাতি রাষ্ট্রের স্থপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। তারপর বিউগেলের করুন সুর বাজানো হয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী এরপর বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব, বঙ্গবন্ধুর পুত্র ও পুত্রবধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। মোনাজাতে দেশ-জাতি এবং সমগ্র মুসলিম উন্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নেত্রী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং কাজী জাফরউল্লাহ, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, মহিলা ও শিশু বিষযক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিএম মোজাম্মেল, মুহম্মদ ফারুক খান এমপি, শেখ হেলালউদ্দিন এমপি উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো.শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ।
পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধিতে পৃথক শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন।
এরপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও দলের নেতা-কর্মীরা জাতির পিতাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃববৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণপর্ব শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনেরর যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিচত্বরে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী ভোরে জাতীয় শোক দিবসে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধানমন্ডির বঙ্গববন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সম্মুখে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বনানী কবরস্থানে শায়িত ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরেও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ গ্রহণের পর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তিনি জাতির পিতার জন্মস্থান এবং তাঁর সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর দুপুরের পরপরই রাজধানীতে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।