সিঙ্গুর ডাকাত কালী বাড়ি পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। শনিবার থেকেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার শুরু করলেন রচনা।
এদিন কলকাতা থেকে রওনা হয়ে সোজা তিনি এসে পৌঁছন সিঙ্গুর ডাকাত কালী মন্দিরে। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বেচারাম মান্না, বিধায়ক করবি মান্না, অসিত মজুমদার, তপন দাশগুপ্ত, অরিন্দম গুইন, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, অসীমা পাত্র, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা প্রমুখ। প্রথমে কালী মন্দিরে পুজো দেন রচনা, এরপর কালী মন্দিরের বিপরীতে প্রতিষ্ঠিত শিব মন্দিরে পুজো দেন।
সেখানে পুজো দিয়ে শুরু করেন লোকসভা ভোটের প্রচার। দিদি নং ওয়ান রচনা ব্যানার্জিকে দেখতে মন্দির চত্বরে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। শঙ্খ বাজিয়ে, ফুল ছিটিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় তৃণমূল প্রার্থীকে। পুজো দিয়ে মন্দির থেকে দেড় কিলোমিটার পায়ে হেটে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে করতে পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছান বড়বাজার সেবা সমিতিতে। সেখানে প্রথমে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন রচনা ব্যানার্জি। তারপর যোগ দেন প্রস্তুতি কর্মী সভায়। এদিন সিঙ্গুর বড়বাজার সেবা সমিতিতে পৌঁছে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী বলেন, সারা ভারতবর্ষে দিদি নং ওয়ান একজনই।
তিনি হলেন বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি হুগলির প্রার্থী হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। একইসঙ্গে এদিন তিনি সকলকে কথা দেন, তিনি বর্তমানে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন, তাই তাঁর একশো শতাংশ সময় মানুষের জন্য বরাদ্ধ থাকবে। তাঁর সংসার, ছেলে, দিদি নং ওয়ান, ব্যবসা অনেক কিছুই রয়েছে। তিনি মনে করেন মেয়েরা দশভুজা।
সব কিছু এক সঙ্গেই সামলাতে পারে। সিঙ্গুরের মাটি ঐতিহাসিক মাটি। অনেক আন্দোলনের সাক্ষী। তাই এই সিঙ্গুরের মাটি স্পর্শ করেই প্রচার শুরু করলেন। এদিনের জন সমাগম দেখে, জয় নিয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী রচনা ব্যানার্জি।