অগ্রসর রিপোর্টঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম আজ দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিলন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যামিরেটাস অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন(বিএমএ)-’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ)’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, মহাসচিব এম এ আজিজ প্রমূখ।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, স্বাধীনতার পর দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ওই একই শক্তি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাত করার জন্য এ ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দান করছেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, দেশের ভাবমূতি নষ্ট করার জন্য কতিপয় বিপথগামী তরুন তথাকথিত আদর্শের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। অথচ বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের জঙ্গী হামলাকে রক্তাক্ত অভ্যূত্থান হিসেবে উল্লেখ করেন এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে জঙ্গী হামলার পর সরকারে পদত্যাগ ও নির্বাচন দাবি করেন।
নাসিম বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়, জঙ্গীদের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে।
ড. আনিসুজ্জামান বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার পর বাংলাদেশ কে আমাদের কাছে অপরিচিত দেশ মনে হয়েছে। গত তিন বছর যেভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও মুক্তমনা লেখক এবং বিদেশী নাগরিকদের ওপর হামলা হয়েছে তা দেশের সংবিধানের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর সংবিধানের মুলনীতিকে পরিবর্তন করে দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারার একটি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।