বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চে আজই এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওই নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলিতে আহত চরণ সরেন ও বিমল কিসকোকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দ্বিজেন টুডুকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশি পাহারা থাকার পরও কোমরে দড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছে ৩ জনকেই।
এই সাঁওতালদের অভিযোগ পুলিশের সহায়তায় বাবা-দাদার ভিটা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঘরের মালামাল বের করতে না দিয়ে লুটপাট চালিয়ে আগুন দেয়া হয়েছে ঘরে। প্রতিবাদ করায় পুলিশ চালিয়েছে গুলি।
চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা ওই জমিতে কয়েকশ’ ঘর তুলে সাঁওতালরা বসবাস করে আসছিল কয়েক বছর ধরে। চিনিকল কর্তৃপক্ষ ওই জমি উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষের সময় সাঁওতালদের বাড়িঘরে লুটপাট হয়। একচালা ঘরগুলো পুড়িয়ে দেয়ার পর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি সমান করে দেয়।
গত ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে ৩ সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালিত হচ্ছে।