স্টাফ রিপোর্টার: জেলায় দৈনিক দুই শতাধিক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। শিশুদের মধ্যে ব্যাপক হারে ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলার মতলব আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ রোগী ভর্তি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৭৭ জন। এদের বাড়ি চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, কুমিল্লা সদর, বরুড়া, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ও রামগঞ্জ উপজেলায়। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ কুমিল্লা জেলার আরও কিছু এলাকা থেকে এসে শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে।
মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আল ফজল খাঁন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘দূষিত পানি পান ও ময়লা খাবারের কারণে শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। সাধারণত শীতে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। শিশুদের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব এই রোগের প্রধান লক্ষণ। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের খাওয়ার স্যালাইন, বুকের দুধ, সুজি, খিচুড়ি, ডাব, চিড়ার পানি, ভাতের মাড়সহ অন্যান্য খাবার খেতে দিতে হয়।’
সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার চন্দ্র শেখর দাস দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বর্তমানে রোগীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই শিশুকে হাসপাতালে না এনে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো সম্ভব। তবে স্যালাইন গোলানোর সময় অবশ্যই আধা লিটার পানিতে ১ প্যাকেট স্যালাইন গোলাতে হবে। অনেক রোগীর অভিভাবক একটু স্যালাইন ও একটু পানি মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর ফলে শিশুর শরীরের লবণের অংশ বেড়ে যায়। যার ফলে শিশুরা বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে।’
শিশুদের অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বার বার পানির মতো পাতলা পায়খানা, খুব বেশি পিপাসা, ঘন ঘন বমি হলে, পায়খানায় রক্ত গেলে, জ্বর থাকলে ও শিশু না খেতে চাইলে অবশ্যই নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।’
অপরদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ও ৮টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শত শত শিশু ভর্তি হয়েছে এবং চিকিৎসা নিচ্ছে।