আইএলও মহাপরিচালক গাই রিডার বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখনো সন্তোষজনক নয়। এই পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতি এবং যথেষ্ট কর্মসংস্থার সৃষ্টির জন্য অশনি সংকেত। এছাড়া এতে গুণগত কর্মসংস্থানও হুমকির মুখে। আইএলও বলছে, চাকরিজীবীদের জন্যও এটি খারাপ সংবাদ।
আলাদা একটি প্রতিবেদনে আইএলও বলছে, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সাথে সাথে বৈশ্বিক মজুরি বৃদ্ধি হার চার বছরের মধ্যে সবচে কম ছিল ২০১৫ সালে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলোতে বেতন বাড়লেও তা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির নিম্নহারে ভারসাম্য আনতে পারেনি।
কর্মসংস্থান আছে তবুও দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা এখনো অনেক বেশি। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অর্ধেক এবং সাব সাহারান আফ্রিকার দুই তৃতীয়াংশ শ্রমিকই অতি দারিদ্র্য কিংবা মধ্যম পর্যায়ের দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করে। আইএলও এর হিসাবে, ২০১৭ সালে সবচে বেশি বেকারত্ব দেখা দেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ করে লাতিন আমেরিকায়। অপরপক্ষে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় বেকারত্ব কমবে। সাথে আইএলও এও সতর্ক করে দিয়েছে যে, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় দীর্ঘকালীন বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে। ইউরোপের অর্ধেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক চতুর্থাংশ বেকার মানুষ ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরি খুঁজেও পায়নি।