অগ্রসর রিপোর্ট :রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে বিপুল অর্থ, অস্ত্র ও মাদকসহ আটক মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অর্থপাচার আইনের মামলায় শুনানি শেষে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী আসামি গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের ১৭০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
তিনি বলেন, আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা শুধুমাত্র বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর উল্লেখ করেছেন। সেখানে কী পরিমাণ গচ্ছিত আছে তা উল্লেখ করেননি। তবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে কিছু কিছু এফডিআরও রয়েছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ হওয়া অপর তিন আসামি হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
গত বছরের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গোল্ডেন মনিরের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। পরদিন দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ, বিদেশি পিস্তল, গুলি, মদ, এক কোটি টাকা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে বাড্ডা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা করা হয়। পরবর্তী সময়ে অর্থ পাচার আইনেও আরেকটি মামলা হয়। গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়া হয়েছে। র্যাব জানায়, মূলত সোনা চোরাচালানই ছিল মনিরের ব্যবসা। এর মাধ্যমেই তিনি গোল্ডেন মনির হিসেবে পরিচিতি পান। একসময় গামছা বিক্রি করা মনির জমির ব্যবসাতেও ‘মাফিয়া’ হয়ে ওঠেন।