অগ্রসর রিপোর্ট : গাজীপুরে সেপটিক ট্যাংক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসানের (২৪) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্র এর আগে ১২দিন নিখোঁজ ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুরের গাছা ইউনিয়নের কামারজুরি এলাকার মধ্যপাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সে রাজধানীর শ্যামলী ২নম্বর রোড এলাকার সাব্বির হোসেন শহীদের ছেলে। জিসান একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি রাইট শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাওয়ের মোটরসাইকেল চালক ছিলেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাসিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
তিনি কামারজুরি বাজার এলাকায় খাবার হোটেলের ব্যবসা করেন এবং ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ভাড়া থাকেন।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন জানান,গত ১২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থেকে নিখোঁজ হয় ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান। তিনি পাঠাওয়ের মোটসাইকেলচালক ছিলেন। ওই দিন সকালে জিসানের পাঠাও মোটরসাইকেল ভাড়া করে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় যান যাত্রীরা। এর পর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান না পেয়ে রাতে গাছা থানায় একটি জিডি করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন। এর একদিন পর ছেলের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শেরেবাংলা থানায়ও জিডি করেন তিনি। এর পরই অভিযানে নামে পুলিশ।
ঘাতকরা গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানাধীন কামারজুরি এলাকায় অবস্থা করছেন এমন গোপন তথ্য পেয়ে সেখানে বুধবার রাতে অভিযান চালায় গাছা ও শেরেবাংলা থানাপুলিশ। অভিযানে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে হাসিবুরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় সেখান থেকে জিসানের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এর পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাসিবুর জিসানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার মৃতদেহ তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলা হয়েছে বলে জানান।
বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। আটক হাসিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় অনেকে জড়িত থাকতে পারে এবং আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে জানান ওসি।