ডিএই সূত্র জানায়, ১৩ আগস্ট পর্যন্ত জেলায় ৭৫ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে বাকী জমিতে চাষের কাজ শেষ হবে।
সূত্র জানায়, জেলায় ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং চারাগুলো সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠেছে।
এর আগে এই আমন চাষ কর্মসূচি সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন তাদের অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের আমন বীজ সরবরাহ করে।
ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান,আমন চাষে দরিদ্র প্রান্তিক চাষীদের সহায়তা করার জন্য রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকসমূহ সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করেছে।
এ ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদ , শস্য ব্যাবস্থাপনা, সার ও উন্নতমানের বীজ সংরক্ষণের বিষয়ে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বিএমডিএ’র ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার কুদরাত-ই-ইলাহী জানান,জেলায় রোপা আমন ধানের উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য সেচের প্রয়োজনে ৩৬৫টি গভীর নলকুপ প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে।
ডিএই’র উপ-পরিচালক একেএম রুহুল আমিন বাসসকে জানান, চলতি মৌসুমে রোপা আমন কর্মসূচি সফল করার জন্য জেলার তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যাতে প্রয়োজনীয় সার, কীটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা যায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় প্রায় ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
অগ্রসর রিপোর্টঃ জেলার সাত উপজেলায় রোপা আমন ধানের চাষাবাদ এগিয়ে চলেছে। জুলাই মাস থেকে এই ধানের চাষ শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) সুত্র জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৪ হাজার ৪৭১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের মাধ্যমে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৬৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এরমধ্যে ৭৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে উফসী (উন্নত ফলনশীল জাত) আবাদ করে ২০ হাজার ৮০৯ টন, ৮৯৯ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাত চাষ করে ২ হাজার ৯৬৭ টন এবং ৭ হাজার ১২ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের (এলভি) ধান চাষের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৬৭ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।