গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে দ্বিতীয় দিনের মতো জঙ্গি ও নৌ-ডাকাতের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে উপজেলার ফজলুর ও ফুলছড়ি ইউনিয়নের খোলাবাড়ি, তালতলা ও খাটিয়ামাড়িসহ বিভিন্ন চরে এ বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
এ অভিযানে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চরাঞ্চলের কিছু এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা ও আস্তানার খোঁজে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের কিছু এলাকা ব্লক রেইড (নিরদিষ্ট এলাকা চিহ্নিত) করা হয়েছে। এসব এলাকা ঘিরেই অভিযান চালানো হচ্ছে।
এর আগে, বুধবার (৫ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাত ঘণ্টা সদর উপজেলার মোল্লারচর ও কামারজানি ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি- সার্কেল) মো. মইনুল হকের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান। সে অভিযানে জঙ্গি আস্তানা বা কোনও জঙ্গি পাওয়া যায়নি। তবে মোল্লারচর ইউনিয়নের সিধাইল চরের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী ওরফে শুকুর আলী (২৮) নামে এক ডাকাতকে আটক করা হয়। শুকুরের পাঁচ ভাইদের নামে ডাকাতির মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক দফায় অভিযান চালায়। কিন্তু অভিযানে পরিত্যক্ত দু-তিনটি দেশীয় অস্ত্র ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু উদ্ধার কিংবা জঙ্গিসহ কোন নৌ-ডাকাতকে গ্রেফতার করতে পারেনি।