খুলনা প্রতিনিধি- খুলনা সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিদা বেগমের ছেলে যুবলীগকর্মী মো. নজরুল ইসলাম ওরফে নজু হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা সোহরাব হোসেন দাদো বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় স্থানীয় যুবলীগকর্মী সেলিম, তাজুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গত বুধবার রাতে নগরীর নতুন রাস্তার মোড়ে, বিজিবির সেক্টর সদর দফতরসংলগ্ন বরফকলের সামনে নজুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নজুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় একটি বিদেশী পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হত্যাকারীরা নজুর মরদেহের পাশে ওই অস্ত্র ও গুলি রেখে গেছে। নজুর মা কেসিসির ২ নং সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিদা বেগম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় সেলিম বাসা থেকে নজুকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে খবর পাই নজুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেলিম ইয়াবা ব্যবসায়ী। দুদিন আগে একই এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী রাজু ও সোহেলের সঙ্গে নজুর বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। তখন তারা নজুকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। তারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টায় তারা ঘটনাস্থলে একটি গুলির শব্দ পান। তার পরই সড়কের পাশে নজুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দৌলতপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে নতুন রাস্তা মোড়ে বিজিবি খুলনা সেক্টর সদর দফতরসংলগ্ন ১০০ গজের মধ্যে তাকে গুলি করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নজু ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলিভর্তি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নজুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এক মাস আগে সে জেল থেকে ছাড়া পায়। এজাহারে মাদক ব্যবসায় প্রতিবাদ করায় তাকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত নজু বালির ব্যবসা করত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।