পরিবেশের ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাজারীবাগ থেকে না সরানো ১৫৪ ট্যানারিকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই অর্থের অর্ধেক জমা দিতে হবে বাংলাদেশ লিভার ফাউন্ডেশনে; বাকি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।
হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ হিসেবে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা করে দিতে বলেছিল।
এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়ার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ ক্ষতিপূরণের নতুন অংক ঠিক করে দেন।
আপিল বিভাগে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। অপরপক্ষে শুনানি করেন হাইকোর্টে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আদেশে হাজারীবাগের ট্যানারি বর্জ্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে পরিবেশের কী পরিমাণ ক্ষতি প্রতিদিন করা হচ্ছে- তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে পরিবেশ সচিবকে।
জরিমানার আদেশের বিরুদ্ধে ট্যানারি মালিকদের দুই সংগঠনের চেয়ারম্যান চেম্বার আদালতে গেলে গত ২৮ জুন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের আদেশ ১৭ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার বিষয়টি আপিল আদালতে আসে।