এএফপির খবরে জানানো হয়, কিউবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই রাউল কাস্ত্রো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ঘোষণা করেন, স্থানীয় সময় গতকাল রাত ১০টা ২৯ মিনিটে কাস্ত্রো মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
কিউবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়ার পর ১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় বামপন্থী নেতৃত্বের উত্থান ভালোভাবে নেয়নি দেশটি। কাস্ত্রোকে বহুবার হত্যাচেষ্টা করা হয়। সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। স্বাস্থ্যগত কারণে ২০০৮ সালে আরেক বিপ্লবী নেতা ছোটভাই রাউল ক্যাস্ত্রোর (৮৫) কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন ফিদেল। রাউল ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে কিউবার অর্থনীতিকে ‘সোভিয়েত-ধাঁচের রক্ষণশীলতা’ থেকে বের করে এনে বাজার-ভিত্তিক অর্থনীতিতে পরিবর্তন করার পথে বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গের সুদীর্ঘকালের তিক্ততার বরফও গলতে শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঐতিহাসিক কিউবা সফরের পর। কমছে দীর্ঘদিন ধরে জারি থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতা।
ভেনেজুয়েলার মতো ‘একুশ সমাজতন্ত্রের নীতি’ থেকে সরে এসে মুক্তবাজারের পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়েছে কিউবা। এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজার হাজার কিউবান নাগরিক এখন মুক্তবাজারে। তারা বাড়ি-গাড়ি কেনাবেচা করছে, ইন্টারনেটের বৈশ্বিক ভূবনে যোগ দিচ্ছে। এই বদলে যাওয়া কিউবায় সে দেশের নাগরিকদের একাংশ মনে করেন, ক্যাস্ত্রোর নীতি আর কাজে আসছে না। বিশ্ববাজারে যুক্ত হওয়ার তাগিদ বোধ করেন তারা।
গত ১৩ আগস্ট মহাসমারোহে ফিদেল কাস্ত্রোর ৯০ তম জন্মদিন উদযাপন করে কিউবার জনগণ। ওই অনুষ্ঠানেও সবার সামনে আসেননি তিনি।