কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে শনিবার ত্রৈমাসিক বিচার বিভাগীয় সম্মেলন ও মাসিক পুলিশ- ম্যাজিষ্ট্রেসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে মামলাসমূহের বিভিন্ন ত্রুটির কারণে আসামিরা অনেক সময় জামিনের সুবিধা পেয়ে যাওয়ায় সেই সকল ক্রটিসমূহ দূর করার জন্য সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তাছাড়াও বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক উদ্ধার করা মাদক নিয়েও সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মামলা দায়েরের সময় সকল আলামত থানায় জমা না দেওয়ায় মামলা বিচারের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হবার কথাও আলোচনায় স্থান পায়।
সভায় এসব আলামত দ্রুত থানায় জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অপরদিকে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট মো. তৌফিক আজিজ বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাকে সাক্ষীর প্রসেসসমূহ এবং পেন্ডিং ওয়ারেন্টসমূহ দ্রুততার সাথে তামিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
তাছাড়াও পুলিশ-ম্যাজিস্ট্র্রেসি সম্মেলনের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের সাম্প্রতিক নির্দেশনার বিষয়ে সকলকে অবহিত করে উক্ত নির্দেশনা অনুসরণ ও প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক পরবর্তী পুলিশ-ম্যাজিস্ট্র্রেসি সম্মেলনে উপস্থিত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সম্মেলনে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন মাদকের মতো ভয়াবহ অপরাধ দমনে সামাজিক আন্দোলনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এবং সিনিয়র সহকারী জজ অসীম কুমার দে এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ মো. আলমগীর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহাক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ, সরকারী কৌঁশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমদ, দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা পরিচালনাকারী সিনিয়র আইনজীবীবৃন্দ।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ওসমান গণি, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট মুহাম্মদ মোশারফ হোসাইন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সালমা খাতুন, সৈয়দ মো. ফখরুল আবেদীন সহ কক্সবাজার জেলা জজ আদালত ও ম্যাজিস্ট্র্রেসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ।