কেমন হবে এই ‘কিসেঞ্জার’ ? স্মার্টফোনের নীচে একটি প্লাস্টিক প্যাড রয়েছে যাতে ঠোঁট স্পর্শ করলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার অনুভূতি অন্য প্রান্তের ডিভাইসে তার সঙ্গীর ঠোঁটে পৌঁছে যাবে। ডিভাইসটির প্রোটোটাইপ প্রস্তুতকারী দলের সদস্য এমা ইয়ান ঝ্যাং বলেন, ‘চুম্বন হল অন্তরঙ্গতা এবং অনুভূতি প্রকাশের সরাসরি এবং সার্বজনীন অভিব্যক্তি।’ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘লাভ অ্যান্ড সেক্স উইথ রোবটস’ শীর্ষক সভায় তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা এবং ইমোশান ধরে রাখার একটি উপায়।’
গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ডিভাইসটি। প্রেসার সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করে কিসেঞ্জার। অ্যাপের মাধ্যমে ডিভাইসটি চুম্বনের তথ্য ইনফো নিয়ে অপর ডিভাইসে তা পুনরায় সৃষ্টি করে। অ্যাপটিতে ভিডিও কলিংয়ের সুবিধাও রয়েছে। আপাতত ডিভাইসটি দেখতে মুখের আকারের মত নয় এবং সেখানে কোনো জিব্বাও নেই। বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেছেন যে পুরোপুরি বাস্তব চুম্বনের অনুভূতি তৈরি করতে এখনও বেশ খানিকটা সময় প্রয়োজন। এর নির্মাতা বলেন ডিভাইসটি শুধু যৌন সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমই নয়, ‘পিতা-মাতাও যখন কাজে বাইরে থাকবেন তখন এর মাধ্যমে নিজের বাচ্চার গালে চুমু দিতে পারবেন।’ ঝ্যাং জানিয়েছেন চুম্বনকে আরও বাস্তবধর্মী করতে এতে ঘ্রাণও অ্যাড করা হবে, যাতে করে যার সঙ্গে চুম্বন আদানপ্রদান করা হচ্ছে তার ঘ্রাণ পাওয়া যায়।