প্রেম ও দাম্পত্যজীবনে সফল হওয়া সবার ভাগ্যে ঘটে না। অনেকের ক্ষেত্রেই আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভেঙে যায় সম্পর্ক, অসুখী হয়ে ওঠে দাম্পত্যজীবন। কিন্তু কী করলে দু’টি মানুষের হৃদয়ের সম্পর্ক অটুট থাকে? আছে কি তেমন কোনও ইঙ্গিত, যা দেখে বোঝা যায় যে, দু’জনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য হয়ে উঠবে? রিলেশনশিপ কোচ জেমস অ্যালেন হ্যানরাহান বলছেন, আছে। প্রায় দেড় হাজার প্রণয়ীযুগল ও দম্পতিদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানোর পরে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কোনও প্রেম-সম্পর্কে যদি তিনটি বিষয় না থাকে, সেই সম্পর্ক ব্যর্থ হতে বাধ্য। কোন তিনটি বিষয়? আসুন, জেনে নিই—
১. হাসি: এই হাসির অর্থ একে অন্যের উপর হাসা নয়, বরং একসঙ্গে হাসতে পারার ক্ষমতা। জেমসের মত, এটি দু’জন মানুষের অন্তরের সংযোগের চিহ্ন। যখন দু’টি মানুষ একই রকম পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে হেসে ওঠেন, তখন বোঝা যায়, তাঁদের রুচি, তাঁদের রসবোধ ও আবেগের প্রবাহ সমগোত্রীয়। পাশাপাশি একে অন্যের উপস্থিতিতে তাঁরা যে যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন, তারও ইঙ্গিত এই হাসি। ফলে এরকম দু’জন মানুষের সম্পর্ক যে দীর্ঘস্থায়ী হবে, তেমন আশা করাই যায়।
২. আর্থিক স্বচ্ছলতা: কোনও সম্পর্ককে দৃঢ় ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অর্থের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। যে মানুষটি আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী নন, তিনি অন্য মানুষেরও আস্থা অর্জন করতে পারেন না। ভালবাসার ক্ষেত্রেও আর্থিকভাবে পরনির্ভরশীল মানুষ খুব একটা সফল হতে পারেন না। কাজেই ভালবাসাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে সংশ্লিষ্ট দুই জনেরই আর্থিক স্বচ্ছলতা অত্যন্ত জরুরি।
৩. ব্যক্তিগত নির্ভরযোগ্যতা: নিজের সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীকে দেওয়া কথা আপনি রাখতে পারছেন কি না, সেটা সম্পর্কের স্থায়িত্বকে সুনিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরি একটা বিষয়। যে কথা আপনি দিচ্ছেন, সেই কথা রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করুন। নতুবা সঙ্গী বা সঙ্গিনীর আস্থা হারাবেন, তাতে আপনাদের সম্পর্কেরও অকালমৃত্যু ঘটবে।