যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানাতে বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দিয়েছে। এই প্রথমবারের মতো জাপান নিয়ন্ত্রিত জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলো । তবে এ ব্যাপারে চীনের পক্ষ থেকে তারা বাধার সন্মুখীন হয়।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট এ পরিষদ জরুরি আলোচনার জন্য রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ছিল পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ উস্কানিমূলক কর্মকান্ড।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার বৈঠকের পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত কঠোর জবাব দেয়ার আহবান জানান। তিনি এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরেকটি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের খুব কাছে গিয়ে পড়ে।’
এক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের একটি খসড়া বিবৃতি বিলি করবে বলে আশা করা হচ্ছে । তবে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়ি এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের আহবান জানান।
লিউ বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ানো কোনভাবেই ঠিক হবে না। এক্ষেত্রে প্রকৃত ঝুঁকি ঝুঁকি রয়েছে। আমি মনে করি আমাদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।’
উত্তর কোরিয়া প্রায় একই সময় মাঝারি পাল্লার দু’টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকে বসে। এ দু’টির মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়।
দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উত্তর উপকূলের জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের ১৫৫ কিলোমিটার দূরের এ এলাকাটি তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (ইইজেড) হিসেবে পরিচিত।
প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।