অগ্রসর রিপোর্ট : উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জবাবে ঠিক একদিন পর পাল্টা চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার পূর্ব সাগরে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে দেশ দু’টি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিএনএন।
এর আগে মঙ্গলবার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার জবাবে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেকে দু’টি করে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রই নকল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে। জাপান বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটি তার ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে বলে মনে হওয়ায় সরকার নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে ‘উস্কানি’ বলে অভিহিত করেন এবং ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। পরে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েলো সাগরে একটি লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা চালায়।
জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘স্পষ্টভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি’ হিসাবে উল্লেখ করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা করেছেন ‘কঠোর ভাষায়’।