অনলাইন ডেস্ক- উত্তর ইরাকের ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকেরা নতুন করে সেদেশে বিদেশী হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। আইসিস জঙ্গীদের হামলা থেকে বাঁচতে পাহাড়ে পালিয়ে যাওয়া ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষ এখনো আতংকের মধ্যেই আছে। সিরিয়া সীমান্তের দিকে একটি ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া এরকম কয়েকজন তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিবিসির সংবাদদাতাকে।
কয়েকজন বলেছেন, জঙ্গীরা তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ইসলাম ধর্মে দীক্ষা নিতে বলে। ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের নেতারা তাদের রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। উত্তর ইরাকের ডোহাক প্রদেশের গভর্ণর ফরহাদ আট্ররুশি বলেন, আইসিসকে ঠেকাতে হলে আন্তর্জাতিক সাহায্যের কোন বিকল্প নেই। গভর্ণর ফরহাদ আট্রুরুশি বলেন, আইসিসের দুটি জিনিস আছে। প্রথমত, তাদের জঙ্গীরা মরতে প্রস্তুত, দ্বিতীয়ত ইরাকী শহরগুলো থেকে সরকারি সৈন্যরা যেসব আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেছে, সেসব অস্ত্র এখন তাদের হাতে। এগুলো তারা ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এই জঙ্গীদের মোকাবেলা করতে হলে আমাদেরও সেরকম আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দরকার। সুন্নী জঙ্গীদের মোকাবেলায় ইরাকের কুর্দিদের অস্ত্র সরবরাহ করা যায় কিনা, তা নিয়ে এক জরুরী বৈঠকে বসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা। ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইরাকী কুর্দিদের অস্ত্র যোগান দিচ্ছে।
এদিকে ইরাকী প্রধানমন্ত্রী নুরী আল মালিকি বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার পর যুক্তরাষ্ট্র একে স্বাগত জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুজান রাইস বলেছেন, নুরী আল মালিকি সরে দাঁড়ানোর পর ইরাকীরা এখন ইসলামিক স্টেট জঙ্গীদের হুমকি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।